প্রবল গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্নস্থানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি-গাড়ি, দলীয় অফিস ও তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সরকারি অফিস ভবন, কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত হন।
এছাড়াও হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি-কাজলায় ও ঢাকা মেডিকেলের কাছে নতুন ভবন এলাকায় এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত ছয়জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে।
দুপুর ১টায় ঢাকা মেডিকেল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চারটি মরদেহ আনা হয়েছে যাত্রাবাড়ি-কাজলা এলাকা থেকে ও দুটি মরদেহ আনা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের কাছে নতুন ভবন এলাকা থেকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত ছয়জনের মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ভবনে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুটি ভবনে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
গতকাল সোমবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
সদর দপ্তরের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা জীবন বাঁচাতে দেয়াল টপকে বের হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তবে এই মুহূর্তে পুলিশ দপ্তরে আইজিপি আব্দুল্লাহ আল-মামুন উপস্থিত নেই বলে জানা গেছে।
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিক্ষোভকারীরা। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেখান দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
রাজধানী ঢাকার বিজয় সরণিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একদল মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
এরপর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর ধানমন্ডির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসা ভাঙচুর করছেন আন্দোলনকারীরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই দৃশ্য দেখা যায়।
দেখা যায়, ফটক ভেঙে হাজারো আন্দোলনকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ঢুকে পড়েছেন। বাড়ির ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ভেতরে ভাঙচুরও চলছে।
নারায়ণগঞ্জে এমপি শামীম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি-গাড়ি, দলীয় অফিস ও তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
বিকেলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়েই শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন চাষাঢ়ায় জড়ো হতে থাকেন। পরে সবাই মিলে উল্লাস করেন।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেল ‘জাবির ইন্টারন্যাশনালে’ অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে দগ্ধ হয়ে ছয়জন নিহত ও ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হোটেলের ভেতরে অনেকে আটকা পড়েন। হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকারী দল ১৪ তলা বিশিষ্ট হোটেলের ছাদ থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করে। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি দল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
শেরপুরে জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলা কারাগারে আটক থাকা সব বন্দি পালিয়ে যান।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল থেকেই সরকারি-বেসরকারি অফিস-স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকেলে প্রশাসনের গাড়িচাপায় ও গুলিতে পাঁচজন নিহতের পর শেরপুর জেলা শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় আনসার অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ সেরনিয়াবাত ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়, আমেনা বেগম ফাউন্ডেশন কার্যালয়, সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবন, বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে।
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ সরকারের সব সংসদ সদস্য ও নেতাদের বাসাবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, গাড়ি ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তাণ্ডব এখনো চলছে।
টাঙ্গাইলে জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিকেলে আনন্দ মিছিল শেষে ভাঙচুর ও আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ সময় কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
বান্দরবানে মিছিল শেষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও সাবেক পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ শিংয়ের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় বান্দরবান সদরের ভিআইপি রোড় ও রাজার মাঠ এলাকায় এঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসে।
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় খুলনা মহানরগীর অধিকাংশ এলাকা। সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়, জেলা পরিষদ ও খুলনার শেরে বাংলা রোডে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই তথা দুই এমপির বাড়িতে। ভাঙচুর করা হয় খুলনা প্রেসক্লাবসহ বেশ কিছু স্থাপনা।
রাজশাহীতে আন্দোলনকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। দুপুর ১টার দিকে নগরীর স্বচ্ছ টাওয়ার মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় স্বচ্ছ টাওয়ার তালাইমারী রুটে আওয়ামী লীগের তিনটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বড় বাজার থেকে থানার দিকে আসতে থাকেন। এ সময় ঈদগায়ের সামনে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
পুলিশ পিছু হঠলে আন্দোলনকারীরা থানায় হামলা করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভরত জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহতরা হলেন- উপজেলার যাত্রাপাশা মহল্লার সানু মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (১২), মাঝের মহল্লা গ্রামের আব্দুন নূরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৭), পাড়াগাঁও মহল্লার শমশের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির মিয়া (৪০), কামালহানি মহল্লার নয়ন মিয়া (১৮), যাতুকর্নপাড়া মহল্লার আব্দুল রউফের ছেলে তোফাজ্জ্বল (১৮), পূর্বঘর গ্রামের দলাই মিয়ার ছেলে সাদিকুর (৩০)।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে বলেন, এখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। কথা বলার সুযোগ নেই।
হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন নূরুল হক বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা ছয়জন মারা গেছেন।
শেরপুরে জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলা কারাগারে আটক থাকা সব বন্দি পালিয়ে যান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল থেকেই সরকারি-বেসরকারি অফিস-স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
রোববার বিকেলে প্রশাসনের গাড়িচাপায় ও গুলিতে পাঁচজন নিহতের পর শেরপুর জেলা শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় আনসার অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকেই শেরপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে শেরপুর সদর থানা, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের ডরমেটরি, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, আওয়ামী লীগ অফিস, শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুর বাড়ি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানের বাড়ি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন বেগমের বাড়িসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
পরে বিকেলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে শেরপুর শহরে আনন্দ মিছিল শুরু হয়। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে কারাগারের প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং লুটপাট চালায়। এসময় কারাগারে থাকা ৫২৭ জন বন্দি পালিয়ে যান।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল্লাহ আল খায়রুম কারাগারে ভাঙচুর, লুটপাট ও বন্দি পলায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলা কারাগারে দুর্বৃত্তরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। এসময় সব আসামি পালিয়ে গেছে।
ঢাকার সাভারের বাইপাইল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, আরও চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিহত রমজান (৩৫) মাছের আড়তের কর্মচারী। তিনি সকালে আড়ত থেকে বাসায় ফেরার সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে রমজানের বুকে গুলি লাগে।
হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা রমজানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাভার বাজারের বাসস্ট্যান্ডে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধিসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
হবিগঞ্জে পুলিশ আন্দোলনকারী সংঘর্ষে নিহত ৬ যশোরে শাহীন চাকলাদের হোটেলে আগুন ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার শেরপুরে কারাগারে হামলা, ভাঙচুর সব বন্দির পলায়ন
দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুর আগুন লুটপাট
- আপলোড সময় : ০৬-০৮-২০২৪ ০১:০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৬-০৮-২০২৪ ০১:০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ